পোস্টটি পড়ুন তারপর ফ্রিজ ক্রয় করুন

রেফ্রিজারেটর

রেফ্রিজারেটর (কথ্যভাষায় ফ্রিজ বা হিমায়ক) কৃত্রিমভাবে খাদ্য-পানীয় ঠাণ্ডা করে সংরক্ষণ করার একটি জনপ্রিয় গৃহস্থালি যন্ত্র।
বাজারে নানা ধরনের রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ পাওয়া যাচ্ছে। কারিগরি দিক থেকে এগুলো হলো

১। ডিপ ফ্রিজার ফ্রিজ

২। ডিরেক্ট কুল ফ্রিজ

৩। নন ফ্রস্ট ফ্রিজ

৪। সাইড বাই সাইড ফ্রিজ

৫। টপ মাউন্ট ফ্রিজ

৬। বটম মাউন্ট ফ্রিজ

৭। আপরাইট ফ্রিজ

৮। সেমি কমার্শিয়াল ফ্রিজ

একটি ফ্রিজে যা যা থাকে
এতে থাকে তাপনিরোধক কম্পার্টমেন্ট একটি হিট পাম্প (যান্ত্রিক, বৈদ্যুতিক বা রাসায়নিক) যা ফ্রিজের ভেতর থেকে তাপ বাইরে বের করে দেয়, ফলে চারপাশের পরিবেশের তাপমাত্রার চেয়ে ফ্রিজের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। উন্নত বিশ্বে খাদ্য সংরক্ষণে অপরির্যভাবে রেফ্রিজারেশন করা হয়। নিম্ন তাপমাত্রায় ব্যাকটেরিয়ার কম প্রজনন করে ও কম ছড়ায়, সেকারণে খাদ্য সহজে পচে না। রেফ্রিজারেটরের ভেতর তাপমাত্রা গলনাঙ্কের সামান্য উপরে থাকে। পচনশীল খাদ্যে সংরক্ষণের জন্য সবচেয়ে অনুকূল তাপমাত্রা হলো ৩ থেকে ৫ °সে (৩৭ থেকে ৪১ °ফা).[১] রেফ্রিজারেটরের অনুরূপ যন্ত্র ফ্রিজার কিন্তু গলনাঙ্কের চেয়ে কম তাপমাত্রা বজায় রাখে। এর আগে প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে ঘরবাড়িতে খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হতো আইসবক্স। সেকারণে আমেরিকায় রেফ্রিজারেটরকে কখনো কখনো আইসবক্সও বলা হয়ে থাকে।

খাদ্য ঠান্ডা করে জমানোর প্রথম পদ্ধতিতেই বরফ ব্যবহার করা হয়েছিল। আর কৃত্রিম রেফ্রিজারেশন শুরু হয় ১৭৫০ দশকের মধ্যভাগে, ১৮০০ শতকের প্রথমভাগে তা আরো উন্নত হয়। ১৮৩৪ সালে, প্রথম কার্যকর জলীয়বাষ্প-কম্প্রেশন রেফ্রিজারেটর সিস্টেম তৈরি করা হয়। আর প্রথম বাণিজ্যিক বরফ তৈরির কল উদ্ভাবিত হয় ১৮৫৪ সালে। ১৯১৩ সালে ঘরে ব্যবহারের উপযোগী রেফ্রিজারেটর তৈরি করা হয়। ১৯২৩ সালে ফ্রিজিডেয়ার কোম্পানি প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ একক ফ্রিজ বানায়। ১৯২০ দশকে ফ্রেয়ন আবিষ্কারের পর ৩০-এর দশকে রেফ্রিজারেটরের বাজার প্রসারিত হয়। ৪০-এর দশকে আসে হোম ফ্রিজার, তাতে ছিল প্রয়োজনের চেয়ে বড় আলাদা আলাদা কম্পার্টমেন্ট, যেন আইস কিউব রাখা যায়। রেফ্রিজারেটর আসার পূর্বে জমানো বা হিমায়িত খাবার ছিল বিলাসদ্রব্য, কিন্তু এখন তা সাধারণের নাগালে চলে এলো।

ফ্রিজার ইউনিট ব্যবহৃত হয় ঘর-গৃহস্থালিতে, শিল্পকারখানায় এবং ব্যবসায়। বাণিজ্যিক রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার ইউনিটগুলো গৃহস্থালিগুলোর চেয়ে প্রায় ৪০ বছর আগে থেকে ব্যবহৃত হতো। অধিকাংশ বাসায় উপরে-ফ্রিজার-ও-নিচে-রেফ্রিজারেটর এরূপ স্টাইলের মডেল ব্যবহার করা হয় যার শুরু ১৯৪০-এর দশকে। বেশিরভাগ গৃহস্থালি রেফ্রিজারেটর, রেফ্রিজারেটর-ফ্রিজার ও ফ্রিজারে জলীয়বাষ্প সংকোচন চক্র ব্যবহৃত হয়। নতুনতর রেফ্রিজারেটরগুলোতে থাকতে পারে অটো ডিফ্রস্টিং পদ্ধতি বা ফ্রিজের পাল্লায় ঠান্ডা পানি ও বরফের জন্য ডিসপেন্সার।
বাসাবাড়িতে খাদ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারগুলো বিভিন্ন আকারের হতে পারে। সবচেয়ে ছোট মডেলগুলোর মধ্যে আছে ৪ লিটার পেলটিয়ার রেফ্রিজারেটর যা ৬ ক্যান বিয়ার ধারণ করতে পারে। এদিকে বড় আকারের রেফ্রিজারেটরগুলো মানুষের মাথা-সমান উঁচু হতে পারে, প্রস্থে হতে পারে ১ মিটার এবং ধারণক্ষমতা ৬০০ লিটার। রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার রান্নাঘরে স্থায়ীভাবে বসানো থাকতে পারে, আবার চলনশীলও হতে পারে। রেফ্রিজারেটরের কারণে আধুনিককালে আগের চেয়ে বেশি সময় খাদ্য টাটকাভাবে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে। ফলে লোকজন একসাথে অনেক খাবার কিনে রাখতে পারছে, আর সেটা অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী।

বাণিজ্যিক রেফ্রিজারেশন তাপমাত্রা

(উষ্ণতম থেকে শীতলতম)
রেফ্রিজারেটর ৩৫ °ফা থেকে ৩৮ °ফা, এবং তা রেফ্রিজারেটরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ °ফা-এর চেয়ে বেশি নয়
ফ্রিজার, রিচ-ইন -১০ °ফা থেকে +৫ °ফা
ফ্রিজার, ওয়াক-ইন -১০ °ফা থেকে ০ °ফা
ফ্রিজার, আইসক্রীম -২০ °ফা থেকে -১০ °ফা

ভালো ফ্রিজ চেনার উপায়

ভালো মানের ফ্রিজ চেনার সহজ টিপস ও টেকনিক

কোন কোম্পানির ফ্রিজ কিনবো?

কোন ফ্রিজ ভালো হবে?

ভালো ফ্রিজ চেনার উপায়

ভালো মানের ফ্রিজ এর বৈশিষ্ট গুলো জেনে নিন

ফ্রিজে বরফ না জমার কারণ জানুন

ফ্রিজ থেকে পানি পড়ার কারণ জানুন

বাজারের সেরা ফ্রিজ ক্রয় করবেন ?

ফ্রিজ কেনার আগে দেখবেন ও জানবেন

১। যে ফ্রিজটি আপনি ক্রয় করছেন সেটার কনডেন্সার কিসের তৈরী।
২। যদি কপার কনডেন্সার দিয়ে তৈরী না হয় তাহলে সেটা ক্রয় করবেন না।
৩। কপার মানে সংক্ষেপে কম্প্রোসারের সাথে তামার তৈরী কুলিং সিস্টেম পাইব।
৪। যেগুলো ফ্রিজের পেছনে ও বডির ভিতরে থাকে।
৫। সেগুলো তামার কি-না দেখতে ও জানতে হবে।
৬। কপার কনডেন্সার যুক্ত ফ্রিজ অনেক টেকশই, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী,
৭। ফ্রিজের গ্যাস লিকেজ হয় না,
৮। মরিচা পড়ে না,
৯। ক্যাপেলরী জ্যাম হয় না আর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়।
৯। ফ্রিজের কম্প্রোসার হলো ফ্রিজের মেইন মেশিন, বলতে পারেন যার উপর নির্ভর করে ফ্রিজটি কতদিন টিকবে, সার্ভিস কেমন দিবে। আপনার ফ্রিজের কম্প্রোসার যদি খারাপ মানের হয়ে থাকে তাহলে অনেক বিদ্যুৎ খরচ অনেক বাড়িয়ে দিবে।
১০। ইনর্ভাটার টেকনোলজির কম্প্রোসার যুক্ত এবং উন্নত মানের কপার বাইন্ডিং ওয়্যার দ্বারা তৈরীকৃত কম্প্রোসার হলো উন্নত কম্প্রোসার।

ওয়ালটন ফ্রিজ

মার্সেল ফ্রিজ

মাইওয়ান ফ্রিজ

যমুনা ফ্রিজ

হিটাচি ফ্রিজ

সামসাং ফ্রিজ

ওয়ারপুল ফ্রিজ

১১। ফ্রিজের কম্প্রোসারে ১০ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে থাকে।
১২। R134a গ্যাস সমৃদ্ধ ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজির স্বাস্থ্য সম্মত ফ্রোস্ট ফ্রিজ কিনতে হবে।
১৩। ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজির কাজ হলো খাবার সংরক্ষণের সকল স্বাস্থ্য সম্মত উপায় যুক্ত থাকা।
১৪। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে।

ফ্রস্ট ও নন ফ্রস্ট ফ্রিজের পার্থক্য,

ফ্রস্ট ও নন ফ্রস্ট ফ্রিজের সুবিধা-অসুবিধা,

তাহলে ভালো ফ্রিজ কোনটা বুঝে উঠতে পারবেন না।

ফ্রস্ট ফ্রিজ কি?

যে ফ্রিজের ভিতরে ও সংরক্ষিত খাবারে বরফ জমে যায় তাকে ফ্রস্ট ফ্রিজ বলে। ডিপে রাখা খাবার সাথে সাথে খাওয়া যায় না।

নন ফ্রস্ট ফ্রিজ কি?

যে ফ্রিজের ভিতরে ও সংরক্ষিত খাবারে বরফ জমে না তাকে নন ফ্রস্ট ফ্রিজ বলে। নন ফ্রস্ট ফ্রিজে অনেক বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং কারেন্ট চলে গেলে খাবার ২-৩ ঘন্টার বেশি থাকে না।

ফ্রিজের লিটার থেকে সিএফটি বের করার সহজ নিয়ম

লিটার টু সিএফটি

ফ্রিজের CFT মানে- Cubic feet.
আর 1 CFT=28.3168 Liter.
(১ সিএফটি = ২৮.৩১৬৮ লিটার)।
অর্থাৎ ১ ফুট দৈর্ঘ্য, ১ ফুট প্রস্থ, এবং ১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ঘন বস্তুুর আয়তন কে ১ সি এফ টি বলে। ফ্রিজের ভিতরে যে খালি স্থান থাকে সেই স্থানের আয়তন কে সি এফ টি দ্বারা প্রকাশ করা হয়। আবার লিটার দ্বারাও প্রকাশ করা হয়।

ধরুন আপনি যে ফ্রিজটি কিনবেন
তার ক্যাপাসিটি ২৩৮ লিটার
এখন সেটি কত সিএফটি জানতে হলে ২৩৮ কে ২৮.৩১৬৮ দিয়ে ভাগ করতে হবে তাহলে সেটা কত সেফটি/ সিএফটি ফ্রিজ বের হয়ে যাবে।
২৩৮ লিটার / ২৮.৩১৬৮ = ৮.৪০ সেফটি
অথাৎ ২৩৮ লিটার সমান ৮.৪০ সেফটি
উদাহরণ:
১ সিএফটি = ২৮.৩২ লিটার
১.৫ সিএফটি = ৪২.৪৮ লিটার
২ সিএফটি = ৫৬.৬৩ লিটার
২.৫ সিএফটি = ৭০.৭৯ লিটার
৩ সিএফটি = ৮৪.৯৫ লিটার
৩.৫ সিএফটি = ৯৯.১১ লিটার
৪ সিএফটি = ১১৩.২৭ লিটার
৪.৫ সিএফটি = ১২৭.৪৩ লিটার
৫ সিএফটি = ১৪১.৫৮ লিটার
৫.৫ সিএফটি = ১৫৫.৭৪ লিটার
৬ সিএফটি = ১৬৯.৯ লিটার
৬.৫ সিএফটি = ১৮৪.০৬ লিটার
৭ সিএফটি = ১৯৮.২২ লিটার
৭.৫ সিএফটি = ২১২.৩৮ লিটার
৮ সিএফটি = ২২৬.৫৩ লিটার
৮.৫ সিএফটি = ২৪০.৬৯ লিটার
৯ সিএফটি = ২৫৪.৮৫ লিটার
৯.৫ সিএফটি = ২৬৯.০১ লিটার
১০ সিএফটি = ২৮৩.১৭ লিটার
১০.৫ সিএফটি = ২৯৭.৩৩ লিটার
১১ সিএফটি = ৩১১.৪৮ লিটার
১১.৫ সিএফটি = ৩২৫.৬৪ লিটার
১২ সিএফটি = ৩৩৯.৮ লিটার
১২.৫ সিএফটি = ৩৫৩.৯৬ লিটার
১৩ সিএফটি = ৩৬৮.১২ লিটার
১৩.৫ সিএফটি = ৩৮২.২৮ লিটার
১৪ সিএফটি = ৩৯৬.৪৪ লিটার
১৪.৫ সিএফটি = ৪১০.৫৯ লিটার
১৫ সিএফটি = ৪২৪.৭৫ লিটার
১৫.৫ সিএফটি = ৪৩৮.৯১ লিটার
১৬ সিএফটি = ৪৫৩.০৭ লিটার
১৬.৫ সিএফটি = ৪৬৭.২৩ লিটার
১৭ সিএফটি = ৪৮১.৩৯ লিটার
১৭.৫ সিএফটি = ৪৯৫.৫৪ লিটার
১৮ সিএফটি = ৫০৯.৭০ লিটার
১৮.৫ সিএফটি = ৫২৩.৮৬ লিটার
১৯ সিএফটি = ৫৩৮.০২ লিটার
১৯.৫ সিএফটি = ৫৫২.১৮ লিটার
২০ সিএফটি = ৫৬৬.৩৪ লিটার
২০.৫ সিএফটি = ৫৮০.৪৯ লিটার
২১ সিএফটি = ৫৯৪.৬৫ লিটার
২১.৫ সিএফটি = ৬০৮.৮১ লিটার
২২ সিএফটি = ৬২২.৯৭ লিটার
২২.৫ সিএফটি = ৬৩৭.১৩ লিটার
২৩ সিএফটি = ৬৫১.২৯ লিটার
২৩.৫ সিএফটি = ৬৬৫.৪৪ লিটার
২৪ সিএফটি = ৬৭৯.৬০ লিটার
২৪.৫ সিএফটি = ৬৯৩.৭৬ লিটার
২৫ সিএফটি = ৭০৭.৯২ লিটার

 5,504 total views,  3 views today