May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
02/05/2024

merazul.com

all for all

Biography of Prophet Idris হযরত ইদরীস আঃ এর জীবনী

Biography of Prophet Idris হযরত ইদরীস আঃ এর জীবনী

ইদরীস (আঃ)-এর পরিচয়

আল্লাহ বলেন, وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِدْرِيْسَ إِنَّهُ كَانَ صِدِّيقًا نَّبِيًّا، وَرَفَعْنَاهُ مَكَاناً عَلِيّاً- ‘তুমি এই কিতাবে ইদরীসের কথা আলোচনা কর। নিশ্চয়ই তিনি ছিলেন সত্যবাদী ও নবী’। ‘আমরা তাকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছিলাম’ (মারিয়াম ১৯/৫৬-৫৭)।

তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত নবী। তাঁর নামে বহু উপকথা তাফসীরের কিতাবসমূহে বর্ণিত হয়েছে। যে কারণে জনসাধারণ্যে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। হযরত ইদরীস (আঃ) হযরত নূহ (আঃ)-এর পূর্বের নবী ছিলেন, না পরের নবী ছিলেন এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে অধিকাংশ ছাহাবীর মতে তিনি নূহ (আঃ)-এর পরের নবী ছিলেন।

সূরা মারিয়ামে হযরত ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব, ইয়াকূব, হারূণ, মূসা, যাকারিয়া, ইয়াহ্ইয়া, ঈসা ইবনে মারিয়াম ও ইদরীস (আঃ)-এর আলোচনা শেষে আল্লাহ বলেন,

أُوْلَئِكَ الَّذِيْنَ أَنْعَمَ الله ُعَلَيْهِم مِّنَ النَّبِيِّينَ مِن ذُرِّيَّةِ آدَمَ وَمِمَّنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوحٍ وَمِن ذُرِّيَّةِ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْرَائِيلَ وَمِمَّنْ هَدَيْنَا وَاجْتَبَيْنَا إِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُ الرَّحْمَن خَرُّوْا سُجَّداً وَبُكِيّاً-

‘এঁরাই হ’লেন সেই সকল নবী, যাদেরকে নবীগণের মধ্য হ’তে আল্লাহ বিশেষভাবে অনুগৃহীত করেছেন। এঁরা আদমের বংশধর এবং যাদেরকে আমরা নূহের সাথে নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম তাদের বংশধর এবং ইবরাহীম ও ইসরাঈল (ইয়াকূব)-এর বংশধর এবং যাদেরকে আমরা (ইসলামের) সুপথ প্রদর্শন করেছি ও (ঈমানের জন্য) মনোনীত করেছি তাদের বংশধর। তাদের কাছে যখন দয়াময় আল্লাহর আয়াত সমূহ পাঠ করা হ’ত, তখন তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়ত ও ক্রন্দন করত’ (মারিয়াম ১৯/৫৮)। অত্র আয়াতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, ইদরীস (আঃ) হযরত নূহ (আঃ)-এর পরের নবী ছিলেন। তবে নূহ ও ইদরীস হযরত আদম (আঃ)-এর নিকটবর্তী নবী ছিলেন, যেমন ইবরাহীম (আঃ) হযরত নূহ (আঃ)-এর নিকটবর্তী এবং ইসমাঈল, ইসহাক্ব ও ইয়াকূব হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর নিকটবর্তী নবী ছিলেন। নূহ পরবর্তী সকল মানুষ হ’লেন নূহের বংশধর।

উল্লেখ্য যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস, কা‘ব আল-আহবার, সুদ্দী প্রমুখের বরাতে হযরত ইদরীস (আঃ)-এর জান্নাত দেখতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফেরেশতার মাধ্যমে সশরীরে আসমানে উত্থান ও ৪র্থ আসমানে মালাকুল মউত কর্তৃক তাঁর জান কবয করা, অতঃপর সেখানেই অবস্থান করা ইত্যাদি বিষয়ে যেসব বর্ণনা তাফসীরের কিতাব সমূহে দেখতে পাওয়া যায়, তার সবই ভিত্তিহীন ইস্রাঈলিয়াত মাত্র।

উল্লেখ্য যে, পবিত্র কুরআনে হযরত ইদরীস (আঃ) সম্পর্কে সূরা মারিয়াম ৫৬, ৫৭ এবং সূরা আম্বিয়া ৮৫ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।

কুরতুবী বলেন, ইদরীস (আঃ)-এর নাম ‘আখনূখ’ ছিল এবং তিনি হযরত নূহ (আঃ)-এর পরদাদা ছিলেন বলে বংশবিশারদগণ যে কথা বলেছেন, তা ধারণা মাত্র। এমনিভাবে অন্যান্য নবীদের যে দীর্ঘ বংশধারা সাধারণতঃ বর্ণনা করা হয়ে থাকে, সে সবের কোন সঠিক ভিত্তি নেই। এসবের প্রকৃত ইল্ম কেবলমাত্র আল্লাহর নিকটে রয়েছে। ইদরীস (আঃ)-কে ৩০টি ছহীফা প্রদান করা হয়েছিল বলে হযরত আবু যর গেফারী (রাঃ) থেকে ইবনু হিববানে (নং ৩৬১) যে বর্ণনা এসেছে, তার সনদ যঈফ।

কুরতুবী বলেন, তিনি যে নূহের পূর্বেকার নবী ছিলেন না, তার বড় প্রমাণ হ’ল এই যে, মি‘রাজে যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে ১ম আসমানে আদম (আঃ)-এর সাক্ষাৎ হয়, তখন তিনি রাসূলকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেন, مرحبا بالابن الصالح والنبى الصالح ‘নেককার সন্তান ও নেককার নবীর জন্য সাদর সম্ভাষণ’। অতঃপর ৪র্থ আসমানে হযরত ইদরীস (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ হ’লে তিনি রাসূলকে বলেন, مرحبا بالاخ الصالح والنبى الصالح ‘নেককার ভাই ও নেককার নবীর জন্য সাদর সম্ভাষণ’। ক্বাযী আয়ায বলেন, যদি ইদরীস (আঃ) নূহ (আঃ)-এর পূর্বেকার নবী হ’তেন, তাহ’লে তিনি শেষনবী (ছাঃ)-কে ‘নেককার ভাই’ না বলে ‘নেককার সন্তান’ বলে সম্ভাষণ জানাতেন। যেমন আদম, নূহ ও ইবরাহীম বলেছিলেন। তিনি বলেন, নূহ ছিলেন সকল মানুষের প্রতি প্রেরিত প্রথম রাসূল। যেমন শেষনবী ছিলেন সকল মানুষের প্রতি প্রেরিত শেষ রাসূল। আর ইদরীস (আঃ) ছিলেন স্বীয় কওমের প্রতি প্রেরিত নবী। যেমন ছিলেন হূদ, ছালেহ প্রমুখ নবী’। উল্লেখ্য যে, এখানে আদম, নূহ ও ইবরাহীমকে ‘পিতা’ হিসাবে খাছ করার কারণ এই যে, আদম হ’লেন মানবজাতির আদি পিতা। নূহ হ’লেন মানবজাতির দ্বিতীয় পিতা এবং ইবরাহীম হ’লেন তাঁর পরবর্তী সকল নবীর পিতা ‘আবুল আম্বিয়া’।

বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত ইদরীস (আঃ) হ’লেন প্রথম মানব, যাঁকে মু‘জেযা হিসাবে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও অংকবিজ্ঞান দান করা হয়েছিল। তিনিই সর্বপ্রথম মানব, যিনি আল্লাহর ইলহাম মতে কলমের সাহায্যে লিখন পদ্ধতি ও বস্ত্র সেলাই শিল্পের সূচনা করেন। তাঁর পূর্বে মানুষ সাধারণতঃ পোশাক হিসাবে জীবজন্তুর চামড়া ব্যবহার করত। ওযন ও পরিমাপের পদ্ধতি তিনিই সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন এবং লোহা দ্বারা অস্ত্র-শস্ত্র তৈরীর পদ্ধতি আবিষ্কার ও তার ব্যবহার তাঁর আমল থেকেই শুরু হয়। তিনি অস্ত্র নির্মাণ করে ক্বাবীল গোত্রের বিরুদ্ধে জেহাদ করেন।

হযরত ইদরীস আঃ এর জীবনী


ইদরীস আঃ এর জীবনী


ইদরীস এর জীবনী stats


ইদরীস এর জীবনী শক্তি


ইদরীস এর জীবনীশক্তি


ইদ্রিস আঃ এর জীবনী


ইদ্রিস আঃ এর জীবনী মিজানুর রহমান


ইদ্রিস আঃ এর জীবনী ওয়াজ


ইদ্রিস আঃ এর জীবনী মুভি


biography of prophet idris


biography of prophet idris in islam

 2,457 total views,  2 views today

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *