আরাফার দিনে রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব Day fo Arafah
আরাফার দিনের রোজার ফজিলত
আরাফা দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত
আরাফার দিন রোজা রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
হাদিস
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: “আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, এটি পূর্ববর্তী এক বছর ও পরবর্তী এক বছরের গুনাহের কাফফারা হবে। (মুসলিম, ১১৬২)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জিলহজের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়, প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজার মতো আর প্রতি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মতো। (তিরমিজি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)।
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আরাফার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এ রোযা তার পূর্বের ও পরের বৎসরের গোনাহ মুছে ফেলবে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৭৪০}
হজরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আরাফার দিবসে রোজা রাখে তার একাধারে দুই বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (আবু ইয়ালা, আত-তারগিব)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি ৮ জিলহজ রোজা রাখবে আল্লাহ তাকে হজরত আইয়ুব (আ.)-এর মতো কঠিন পরীক্ষায় ধৈর্য ধারণের সওয়াব দান করবেন।
আর যে ব্যক্তি আরাফাতের দিন রোজা রাখল, আল্লাহ তাআলা তাকে হজরত ঈসা (আ.)-এর মতো সওয়াব দান করবেন।
মহানবী (সা.) থেকে আরো বর্ণিত আছে, যখন আরাফাতের দিন আসে তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন।
এই দিনে যে পরিমাণ লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়, অন্য কোনো দিন তা দেওয়া হয় না। যে ব্যক্তি আরাফাতের দিনে রোজা রাখে, তার বিগত বছর ও আগামী বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (মুসলিম)
তবে যারা হজ্বে গিয়েছেন, তাদের জন্য এদিন রোযা না রাখা উচিত।
ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﻧَﻬَﻰ ﻋَﻦْ ﺻَﻮْﻡِ ﻳَﻮْﻡِ ﻋَﺮَﻓَﺔَ ﺑِﻌَﺮَﻓَﺔَ
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ আরাফার দিনে আরাফার ময়দানে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪৪২, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৮১৭২, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আক্বওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-২৩৯২৩, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস
নং-২৫৫৬}
যারা যিলহজ্বের নয় রোযা রাখতে সক্ষম হবে না তারা যেন অন্তত এই দিনের রোযা রাখা থেকে বঞ্চিত না হয়। আল্লাহ তাআলা আশারায়ে যিলহজ্বের মতো অন্যান্য বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত দিনগুলোতে ইবাদত-বন্দেগী করার তাওফীক দিন। আমীন।
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
এক যুবকের অভ্যাস ছিল, সে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা দিলেই রোজা রাখত।
মহানবী (সা.) তা জানতে পেরে যুবককে জিজ্ঞেস করেন, হে যুবক! তুমি কেন এ দিনগুলোতে রোজা রাখো? সে প্রত্যুত্তরে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, এ দিবসসমূহ পবিত্র হজের প্রতীক ও হজ আদায়ের মুবারক সময়। হজ আদায়কারীর সঙ্গে আমিও নেক আমলের আশায় অংশীদার হই, তার সঙ্গে আমার দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেবেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমার একেকটি রোজার বিনিময়ে ১০০ দাস আজাদ করার, ১০০ উট দান করার এবং জিহাদের সাজে সজ্জিত একটি ঘোড়া জিহাদের জন্য দান করার সওয়াব হবে। আরাফাতের দিন তথা জিলহজের রোজার বিনিময়ে দুই হাজার দাস মুক্ত করার, দুই হাজার উট দান করার, জিহাদে সজ্জিত দুই হাজার ঘোড়া দান করার পুণ্যপ্রাপ্ত হবে। (মুকাশাফাতুল কুলুব, ইমাম গাজ্জালি) অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, আরাফাতের দিন তথা ৯ জিলহজের রোজা দুই বছর রোজা রাখার সমতুল্য আর আশুরার রোজা এক বছর রোজা রাখার সমতুল্য।
.
ঈদুল আজহার আগের দিনটি হচ্ছে আরাফার দিবস। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে এ দিনটি অত্যন্ত ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ।
.
কোরআন
শপথ উষার। শপথ ১০ রজনীর, শপথ জোড় ও বেজোড়ের। (সূরা ফজর : আয়াত নং-১-৩)। এ আয়াতে জোড় বলতে ঈদুল আজহার দিন আর বেজোড় বলতে আরাফা দিবসকে বুঝানো হয়েছে।
হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে হজরত মুহাম্মদ (সা.) জোড় বেজোড়ের এ ব্যাখ্যাই করেছেন (তাফসিরে ইবনে কাছীব ও মাআরিফুল কোরআন)।
.
আরাফার দিন গুনাহ মাফ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের দিন।
হাদিস
عن عائشة رضى الله عنها قالت: إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ما من يوم أكثر من أن يعتق الله فيه عبداً من النار من يوم عرفة، وإنه ليدنو ثم يباهي بهم الملائكة، فيقول : ما أراد هؤلاء؟
আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : আরাফার দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের এত অধিক সংখ্যক জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যা অন্য দিনে দেন না। তিনি এ দিনে বান্দাদের নিকটবর্তী হন ও তাদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করে বলেন : ‘তোমরা কি বলতে পার আমার এ বান্দাগণ আমার কাছে কি চায় ?
.
আরাফার দিনে রোযা রাখার ফযীলতঃ
عن أبي قتادة رضى الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم سئل عن صوم يوم عرفة فقال : (يكفر السنة الماضية والباقية) .) رواه مسلم
আবু কাতাদাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুল (সাঃ) কে আরাফার দিনের রোজার ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আরাফার দিনের রোজা বিগত ও সামনের এক বছরের গুনাহ সমূহের জন্য কাফফারা স্বরূপ।”
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৬২।
.
কারণ, আরাফার ময়দানের দোয়া আল্লাহ সব চাইতে বেশি কবুল করেন। সে জন্য যারা হজ্জ করবেন তারা রোযা না রেখে বেশি বেশি দোয়া করবেন, আর যারা বাড়িতে থাকবেন তারা ঐদিন রোযা রাখার চেষ্টা করবেন। এই দিনের যে কোন ইবাদত আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয় ও বেশি মর্যাদার।
.
আরাফার দিনে হজ পালনরত ব্যক্তি রাসূল (সাঃ) -এর আদর্শ অনুসরণ করেই ঐ দিনের সওম পরিত্যাগ করবেন। যেন তিনি আরাফাতে অবস্থানকালীন সময়ে বেশি বেশি করে জিকির, দোয়াসহ অন্যান্য আমলে তৎপর থাকতে পারেন। আর এদিনে শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোকে সকল হারাম ও অপছন্দনীয় কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
হাদিসে এসেছে—
في مسند الإمام أحمد من حديث ابن عباس- رضى الله عنهما- وفيه (إن هذا اليوم من ملك فيه سمعه وبصره غفر له) )ورواه المستدرك وقال شاكر إسناده صحيح(
মুসনাদে আহমদে ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে যে, এ দিনে যে ব্যক্তি নিজ কান ও চোখের নিয়ন্ত্রণ করবে তাকে ক্ষমা করা হবে।
মনে রাখা দরকার যে শরীরের অঙ্গ সমূহ হারাম ও অপছন্দনীয় কাজ থেকে হেফাজত করা যেমন সওমের দাবি তেমনি হজেরও দাবি। কাজেই সর্বাবস্থায় এ দিনে এ বিষয়টির প্রতি যত্নবান হতে হবে। আল্লাহ ও তার রাসূলের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধগুলোকে পরিহার করতে হবে।
.
নবী কারীম (সাঃ) বলেছেন :—
خير الدعاء دعاء يوم عرفة ، وخير ما قلت أنا والنبيون من قبلي : لَا إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ .)رواه الترمذي ২৮৩৭ ورواه مالك في الموطأ وصححه الألباني(
সবচেয়ে উত্তম দোয়া হল আরাফাহ দিবসের দোয়া। আর সর্বশ্রেষ্ঠ কথা যা আমি বলি ও নবীগণ বলেছেন, তা হলো আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। তিনি একক তার কোন শরিক নেই। রাজত্ব তারই আর সকল প্রশংসা তারই, এবং তিনি সর্ব শক্তিমান।
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্দুল বার বলেন : ‘এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে আরাফা দিবসের দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হবে আর সর্বোত্তম জিকির হল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’
ইমাম খাত্তাবী বলেন : এ হাদিস দ্বারা বুঝে আসে যে দোয়া করার সাথে সাথে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রশংসা ও তার মহত্ত্বের ঘোষণা দেয়া উচিত।
.
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি,
তিনি যেন আমাদেরকে এমন আমল করার তাওফীক দান করেন যাতে তিনি সন্তুষ্ট হবেন। তিনি যেন আমাদেরকে দীনের জ্ঞান দান করেন এবং ঐ সকল লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেন যারা কেবল তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নেক আমল সম্পাদন করে।
.
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লাইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত
৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ
আরাফার দিনের ফজিলত
আরাফার রোজার হাদিস
আরাফার দিনের আমল
আরাফার দিনের দোয়া
আরাফার দিন কবে
আরাফার রোজা কবে ২০২১
arafah day
arafah day 2021
arafah day and eid al adha
arafah day meaning
arafah day fasting
arafah day dua
what day is the day of arafah
arafah day 2021
arafah day no fasting pilgrimage
why do we fast arafah day
arafah day kids activities
significance of arafah day
arafah day images
arafah day blessings
fasting on arafah day
arafat day
arafat day 2021
arafat day live
arafat day fasting
arafat day dua
arafat day status
arafat day 2020
arafat day 2016
arafat day 2018
arafat day 2019
arafat day bangla
arafat day 2021 saudi arabia
arafat day 2017
arafat day tamil
does islam have a holy day
in a muslim pilgrimage to mecca what happened on t
what date is eid ul adha this year
what do you do at the plain of arafat the hajj
what is an islam holy day
what is maidan e arafat
arafah day
arafah day 2020
arafah day and eid al adha
arafat day
arafat day 2021
arafat day 2020
arafat day 2019
arafat day in uae
arafat day dubai
arafat day uae 2020
arafa day
arafa day 2020
6,705 total views, 6 views today